সর্বশেষ

ঢাবি কাঁপে বিশ্বকাপে 'নগদের' আয়োজনে

প্রকাশ :


/ নগদের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসানো হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিন /

২৪খবরবিডি: 'গত ২৬ নভেম্বর মধ্যরাত; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসীমউদ্দিন হল। তিন জন, চার জন, দশ জনের একেকটা খণ্ড খণ্ড মিছিলের মতো বের হয়ে আসছিল হল থেকে। সবার পরনে ফুটবল জার্সি। বেশিরভাগের হাতে পতাকা এবং কারও কারও হাতে ভুভুজেলা। প্রতিটা খণ্ড মিছিল থেকে চিৎকার শোনা যাচ্ছিলো, শোনা যাচ্ছিলো স্লোগান।'
 

'একজন নিরাসক্ত মানুষ ভাবতে পারেন, এই রাতের বেলা কোথায় যাচ্ছে মিছিলগুলো? জসীমউদ্দিন হলের বাসিন্দা, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র সুজন মাহমুদ হেসে বলছিলেন, 'সেই মিছিলগুলো যাচ্ছিলো স্টেডিয়ামের দিকে। মহসিন হল মাঠের স্টেডিয়াম! নগদ এখানে বিশ্বকাপ উপলক্ষে স্টেডিয়াম বানিয়ে ফেলেছে।' মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস 'নগদ' এর আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমে উঠেছে কাতার বিশ্বকাপের উৎসব।  ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ভেন্যুতে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখার ব্যবস্থা করেছে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ। ভেন্যু তিনটি হলো-টিএসসি, সোপার্জিত স্বাধীনতা ও মুহসীন হলের মাঠ। এর মধ্যে মুহসীন হলের মাঠে খেলা দেখার আয়োজন নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরেও আলোচনা হচ্ছে। নামকরা সেলিব্রিটিরা এই মাঠের ছবি পোস্ট করছেন টুইটার, ফেসবুকে। ফিফার পেজ থেকেও বিশ্বকাপ উন্মাদনার ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে টিএসসি ও এর আশেপাশে চা বিক্রি করে আসছেন নুরুল। তিনি বলছিলেন, 'বিশ্বকাপ নিয়ে এতো হই চই আগে কোনোদিন দেখি নাই। আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের খেলা হইলে তো বিরাট এক কাণ্ড হইয়া যাচ্ছে। মানুষ আর মানুষ। দাঁড়ানির জায়গা নাই। মনে হয় স্টেডিয়ামের মধ্যে চলে আসছি।' সুজন মাহমুদ বলছিলেন, নগদ-এর এই আয়োজনের ফলে তাদের কাতার চলে যাওয়ার একটা অনুভূতি তৈরি হয়েছে। তিনি হাসতে হাসতে বললেন, 'বিশ্বকাপ ভেন্যুতে গিয়ে তো দেখার অবস্থায় নেই আমরা। তবে এই জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখতে গিয়ে মনে হচ্ছিলো, কাতারের কোনো ফ্যান জোনে আছি। এতো মানুষের সঙ্গে খেলা দেখা, সবাই মিলে উৎসব করার একটা আলাদা মজা আছে।' এই মজা নিতে সেই তেজগা থেকে টিএসসি চলে এসেছেন সৌরভ হোসেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সৌরভ বললেন, শুধু একটা ম্যাচ দেখতে আসেননি তিনি। তারা দল বেঁধে প্রতিটা ম্যাচই দেখছেন এবার নগদের এই জায়ান্ট স্ক্রিনে। তিনি বলছিলেন, 'আমরা ফার্মগেটে বেশ কয়েকজন একত্রিত হই। তারপর দল বেঁধে এখানে চলে আসি। এখানে খেলা দেখার মজাটাই আলাদা। এতো মানুষের সঙ্গে মিলে খেলা দেখার আনন্দ আগে কখনও করা হয়নি।'


'এফ রহমান হলের বাসিন্দা আহনাফ সাঈফ খান বলছিলেন, এই আয়োজনে খেলা দেখার আরেকটা বিশেষ মজা আছে। তার মতে এতো সুন্দর মানের খেলা টিভিতে দেখা যায় না খুব একটা। সাঈফ বলছিলেন, 'অনেক লোকের মধ্যে খেলা দেখার মজা তো আছেই। সঙ্গে খুব ভালো কোয়ালিটির খেলা দেখা যায়। এখানকার মতো ক্রিস্টাল ক্লিয়ার জায়ান্ট স্ক্রিন আমি আগে কখনও দেখিনি। খেলার ডিটেইল এতো ভালো দেখা যায় যে, মনে হয় সব খেলা এখানে দেখি।' শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, ক্যাম্পাসের আপশাপাশের এমন কি রাজধানীর বিভিন্ন দিক থেকে দল বেঁধে এই জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখতে আসছেন অনেকে। এমন আয়োজনের জন্যে তারা নগদ-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। নগদ-এর পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই আয়োজনটা করেছে নগদের ইভেন্ট টিম।

ঢাবি কাঁপে বিশ্বকাপে 'নগদের' আয়োজনে

এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নগদের চিফ বিজনেস অফিসার শেখ আমিনুল ইসলাম বলছিলেন, 'নগদ চায় মানুষের উৎসবের কথা বলতে। নগদ এগিয়ে যাওয়ার কথা বলে, তারুণ্যের কথা বলে। সেই তারুণ্যের কাছে বিশ্বকাপটা একটা উৎসবের মতো ব্যাপার। আমরা সেই উৎসবে শামিল হতে চেয়েছি। আমরা চেয়েছি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার এবং ঢাকার বাসিন্দারা যেন একটা পরিবারের মতো আনন্দ করে খেলা দেখতে পারেন। সে উদ্দেশ্য পূরণ হলেই আমাদের চেষ্টা সার্থক হবে।' এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের সময়েও নগদ বর্ণিল আয়োজনের সঙ্গী ছিল। বহু বছরের বিরতিতে তখন ক্যাম্পাসে জমজমাট কনসার্ট আয়োজনের করে নগদ।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত